জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে সাতটি ব্যাংকে রক্ষিত টাকার হিসাব-বিবরণী ও লেজার বই আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সাত ব্যাংকের লেজার বই ও হিসাব বিবরণী পরবর্তী ধার্য তারিখে দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদকে ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। তার জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্যও একই দিন ধার্য করেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান, সানাউল্লাহ মিয়া, জিয়া উদ্দিন জিয়া, এম হেলাল উদ্দিন, আব্দুল হান্নান ভুইয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। আর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৬ জুলাই ২০১৭