সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় জয়পুরহাটে ৬০ হাজার মহিলাকে সহায়তা

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জয়পুরহাটে ৬০ হাজার ৫৬২ জন অসহায় ও দুস্থ মহিলাকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় অসহায় ও দুস্থ মহিলারা খুঁজে পায় তাদের ঠিকানা। দারিদ্র্যতাকে দূরে ঠেলে স্বপ্ন দেখে স্বাবলম্বী হওয়ার। সেই লক্ষ্যে গত ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান ও প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সফলতা পেয়েছেন পিছিয়ে পড়া নারীরা। ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় জেলার ৪৩ হাজার ৯০ জন দুস্থ নির্যাতিত, অসহায় দরিদ্র ও তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ২ বছর চক্রাকারে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে। মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচীর আওতায় ৮ হাজার ৪২২ জন দরিদ গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি নিবারণে প্রতি ২ বছর চক্রে মাসিক মাতৃত্বকাল ভাতার পরিমান ৫০০ টাকা স্থলে বর্তমান সরকার তা বৃদ্ধি করে ৮০০ টাকা এবং ৩ বছর চক্রে উন্নীত করা হয়েছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচীর আওতায় উপকার ভোগী মাকে ২৪ মাসের চক্রে মাসিক ৫০০ টাকা প্রদান করা হলেও বর্তমান সরকার তা ৮০০ টাকায় উন্নীত করেছেন এবং ২৪ মাসের সুবিধার স্থানে ৩৬ মাস করা হয়েছে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্র আরো জানায়, নিজেদের আয় বর্ধনমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন ট্রেডে ৩ হাজার ৫৮০ জন মহিলাকে দক্ষতা উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বিউটি ফিকেশন কোর্স, আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডারী, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, মোমবাতি তৈরি, কাগজের ঠোঙ্গা তৈরি, সেলাই ও হালকা কৃষি। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান সহ অসহায়দের মাঝে ৯৯টি সেলাই মেশিন ও ৮শ’ ৪৯ জন মহিলাকে ক্রমপুঞ্জিত ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ৮ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও জেলার নিবন্ধিত ১৫০ টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য বার্ষিক এককালীন অনুদান হিসাবে ৭৫ লাখ ৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিনা সুলতানা বাসস’কে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় অসহায় নারীদের সহায়তা ছাড়াও যৌতুক, বাল্য বিয়ে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। স্কুলগামী কিশোরীরা যাতে ইভ-টিজিংয়ের শিকার না হয় সে জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিত উঠার বৈঠক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।