সামাজিক যোগাযোগে প্রকাশিত সংবাদ রিজার্ভ চুরির তদন্তে প্রতিবন্ধক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে অর্থ চুরির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ দেশে এবং দেশের বাইরে চলমান তদন্ত কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারের সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে ২২ অক্টোবর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে অর্থ চুরির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা শুধু তদন্ত কাজই নয়; একইসঙ্গে চুরিকৃত অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্থ করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ চুরির বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন পক্ষের তদন্তে পরিলক্ষিত হয়েছে। আর এ অপরাধের সাথে তাদের অপরাধ প্রমাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হিসাব হতে সাইবার হ্যাকিং এর মাধ্যমে পাচারকৃত ৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলার এর মধ্যে ৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার এবং ৪৮৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো (সর্বমোট আনুমানিক ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার) ফিলিপাইন আদালতের আদেশের মাধ্যমে গত বছরের ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত প্রদান করা হয়েছে। এ অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় ফিলিপাইন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ প্রয়োজনীয় আইনী সহযোগিতাসহ সকল ধরণের সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

এছাড়া বাংলাদেশের পারস্পরিক আইনগত সহায়তা অনুরোধের সূত্রে ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ বর্তমানে বাংলাদেশকে সকল ধরনের আইনী সহায়তা প্রদান এবং ফিলিপাইনের আদালতে বাংলাদেশের পক্ষে সরকারি আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থ ফেরতে সহায়তা প্রদান করছে। হ্যাকিং এর মাধ্যমে চুরিকৃত অর্থের অবশিষ্ট অংশ দ্রুত উদ্ধার এবং তা ফেরত আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন আইনী কার্যক্রম বর্তমানে ফিলিপাইনে চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ, উল্লেখ, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের কিছু অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন হ্যাকাররা।
এ নিয়ে দীর্ঘ তদন্তের পর ম্যানিলার ব্লু রিবন কমিটি জানায়, ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিটের শাখা থেকে ওই ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যাংকটির চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। পরে এই অর্থ ক্যাসিনোতে ব্যবহার করা হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২২ অক্টোবর ২০১৭