আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সরকার সবধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সরকার আরও একটি ভোটাবিহীন নির্বাচন করার জন্য কূটকৌশল হাতে নিয়েছে। সে কারণে আজকে সারাদেশে নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৬ অক্টোর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার জন্য এই সরকারকে আমরা বহুবার আহবান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছেন না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ২০১৪ সালের মত আর একটা ভোটারবাহীন নির্বাচন করা। যার কারনে তারা এখন গায়েবী মামলার পথ বেছে নিয়েছে। যে মামলা থেকে মৃত ব্যক্তিরাও রেহাই পাচ্ছে না। যা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্ধেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির দেয়া ৭ দফা দাবি মেনে নিলেই নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচনের আগে আমাদের কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের যৌক্তিক দাবি গুলো মেনে নিলেই কেবল মাত্র সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারবে।
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কি চমৎকার তাদের গণতন্ত্র তিনি সারাদিন বলছেন সুষ্ঠ ভোট হবে। এই হলো তাদের গণতন্ত্রের নমুনা। ভিতরে এক রকম বাহির আর একরকম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এই সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করবো। এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সহ দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, ঢাকা মহানগর নেতা সাইফুল ইসলাম পটু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
আজকের বাজার/এমএইচ