দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন। এ লকডাউন বাস্তবায়নে রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ও চেকপোস্ট পয়েন্ট রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।
এ কড়াকড়ির মধ্যে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে মানুষের চলাচল দেখা গেছে।
এদিকে ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর টহলও লক্ষ্য করা গেছে। এতে পথচারীরা বাইরে বের হলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখে পরতে হচ্ছে।
অন্যদিন চেকপোস্টগুলোতে হাতেগোনা দু-চারজন থাকলেও আজ থেকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করার লক্ষে প্রতিটি চেকপোস্টে ১০ থেকে ১৫ জন করে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি প্রশাসনের লোকজনকেও দেখা গেছে।
রাজধানীর শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল এলাকা, ধানমন্ডি ও পান্থপথসহ বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা ও সীমিত আকারে ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দেখা গেছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির টহলও দেখা গেছে।
পুলিশ বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জরুরি প্রয়োজনে অনেকে বের হয়েছেন। এছাড়াও শিল্পকারখানা, ব্যাংক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য রাজধানীর রামপুরা ও হাতিরঝিল এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে।
আজ জুলাই মাসের প্রথম দিন ও সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় অনেককেই বাধ্য হয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে। এজন্য পুলিশের জেরার মুখে যেন পড়াতে না হয় সেজন্য অনেকেই খুব সকলে বাসা থেকে বের নিদিষ্ট সময়ের অনেক আগেই অফিসে পৌঁছেছেন।
সাতদিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ সাতদিন সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সরকারি বিধিনিষেধ মানতে এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে টহলে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা।