সারাদেশে বজ্রপাতে ১৫ জন নিহত

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার সকাল থেকেই কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে পড়ে ঢাকার আকাশ।আকাশ মেঘে ঢেকে যাওয়ায় সকাল হয় রাত। এরপর ঘুর্ণি হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়।সঙ্গে ভয়াবহ বজ্রপাত চলে। হঠাৎ এ ঝড়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, আজ সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।

আবহাওয়া অফিসের দুটো পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে কালবৈশাখীর গতিবেগ নির্ণয় করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় সকাল সাড়ে আটটায় আঘাত হানা কালবৈশাখীর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আরেক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬৩ কিলোমিটার।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, শাহজাদপুর ও কামারখন্দে বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে বাদাম তুলতে গেলে বজ্রপাতে বাবা শামসুল মণ্ডল ও ছেলে আরমানের শরীর ঝলসে যায়। তাদের উদ্ধার করে কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথেই মারা যান দুইজন। এদিকে শাহজাদপুর পৌর এলাকার ছয়আনী পাড়া ও কামারখন্দে বজ্রপাতে মারা গেছে দুই কিশোরসহ আরো তিনজন।

এদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, সুনামগঞ্জ সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাগুড়া, নঁওগা, ও নোয়াখালীতে কৃষক ও কলেজছাত্রসহ আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।সব মিলিয়ে বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে আজ এবং আগামী আরও দু’দিন ঝড়বাদলের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, রাজধানীর মিরপুর, বারিধারা, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকায় ঝড়ে রাস্তার পাশের সাইনবোর্ড, টং দোকান উল্টে যায়। উপড়ে পড়ে ছোট-বড় অনেগুলো গাছ। অন্ধকারে ঝড়ের মধ্যে যানবাহন চলাচল কমে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টার ভারী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

আরজেড