পরিবশে, বন ও জলবায়ু পবির্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি ও পৃথিবীর উষ্ণায়ন ঠেকাতে হলে সারা বিশ^কেই গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘থার্ড ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অব বাংলাদেশ টু দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন্
মন্ত্রী বলেন, জ¦ালানী পরিবহন, শিল্প কারখানা, কৃষি, ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন, বন উজাড় ও অবক্ষয় এবং বর্জ্যরে মতো ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস বেশি পরিমাণে নিঃসরিত হচ্ছে। বিশে^র জাতিসমূহ চাইলে এসব ক্ষেত্র থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বহু পরিমাণে কমাতে পারে।
তিনি বলেন, বিশে^র দেশসমূহ নিজ নিজ উদ্যোগে এই নিঃসরণ কমানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই প্রতিশ্রুতি পালনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বাংলাদেশ পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে বাংলাদেশের পক্ষে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়াই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেলে এই কাজ আরো তরান্বিত হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এদেশের ৮০ শতাংশ এলাকা বন্যাপ্রবণ। আমরা ৮ শতাংশ পানি বৃষ্টি থেকে পাই। বাকি ৯২ শতাংশ বাহির থেকে আসে। ৫৮টি নদী ভারত থেকে এসেছে, ৩ টি মিয়ানমার থেকে। ভারতের সাথে গঙ্গা চুক্তি শেষ হবে ২০২৬ সালে। এরপর কি হবে সেটা এখন থেকে ভাবা উচিত।
পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুল কাদির, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সলিমুল হক খান ও ইউএনডিপি’র ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ কিউকো ইউকুসুকু।