‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই’

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা মনে করি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। এ জন্য আমরা তার মুক্তি চাই। তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন চলবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারা দেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলায় একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

নেতার্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-কর্মসূচি থেকে ‘রাজনৈতিক সুবিধা’ নিতে সরকারই নানাভাবে উস্কানি দেবে, তবে তাতে পা দেয়া যাবে না।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত অপর চার আসামি হলেন- সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসেছে বিএনপি। রায়ের প্রতিবাদে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে দলের নেতাকর্মীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি থানা, উপজেলা, জেলা মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন, ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

পাশাপাশি বিদেশি কূটনৈতিক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, আইনজীবী ২০ দলীয় জোটসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা।

আজকের বাজার : আরএম/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮