প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর জয়দেবপুর চৌরাস্তা শাখায় বোমাতঙ্কের ঘটনায় সাহসী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
১৬ সেপ্টেম্বর,, ২০২০, বুধবার বেলা ১২.২০ মিনিটে জনৈক আবু বকর নামের এক ব্যক্তি শাখা ব্যবস্থাপকের রুমে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দেয়। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জনাব মোল্লা ফরিদ আহমেদ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে দুষ্কৃতিকারীকে অনভিপ্রেত কিছু করার সুযোগ না দিয়ে তার কক্ষ থেকে তড়িৎ গতিতে বের হয়ে শাখার সবাইকে অবহিত করেন। তিনি শাখার গেট বন্ধ করে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পুলিশকে ফোন করেন। তিনি শাখার গেট বন্ধ করে দ্রুত পুলিশকে ফোন করায় দুষ্কৃতিকারী পালাতে পারেনি এবং তাকে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা সম্ভব হয়েছে। ফোন করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুষ্কৃতিকারীকে আটক করে। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে শাখা ও মার্কেটের লোকজনদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্দেজনক ব্যাগটি আলাদা করে ফেলেন। পরবর্তীতে ঢাকার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের ১১ সদস্যের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরাপত্তার সাথে বোম নিষ্ক্রিয় করে। গাজীপুরে মেট্রোপলিটান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার জনাব মো: আজাদ মিয়া সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও পরিস্থিতি তদারকি করেন।
পুলিশ সদস্যদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি এবং জানমালের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঐ ব্যক্তি এখন গাজীপুরের বাসন থানার হেফাজতে আছে। পুলিশের সূত্রমতে, আবু বকরের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার বিশারীঘাটা এলাকায়। তিনি বসবাস করতেন গাজীপুরের বোর্ডবাজারের বটতলা এলাকায়।
পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে। প্রাইম ব্যাংক ঘটনার তদন্তে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রাইম ব্যাংক দেশের সব শাখায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে। সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে শাখায় আগত সকলকে নিরাপত্তা কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এই ঘটনার কারণে শাখাটির গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য প্রাইম ব্যাংক আন্তরিকভাবে দু:খিত। প্রাইম ব্যাংক এর এই শাখাতে নিয়মিত গ্রাহক সেবা অব্যাহত থাকবে।