দেশের শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৫৬ ব্যক্তিকে ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) নির্বাচিত করেছে সরকার। ২০১৬ সালের মনোনীত এই সিআইপিরা এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন। শিল্প মন্ত্রণালয় গত ৭ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে সিআইপিদের নাম জানিয়ে দেয়া হয়। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইপিদের হাতে কার্ড তুলে দেয়া হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য, উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরিতে এই ৫৬ জন ব্যবসায়ীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি কোম্পানি রয়েছে যেগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। আর বাকী দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হলো বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) খাতে সিআইপি হয়েছেন বিএসআরএম স্টিলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হোসাইন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবু নোমান হাওলাদার ও এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদ। মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী ও ফু-ওয়াং ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ চৌধুরী। পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও এসটিএস হোল্ডিংস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন।
উল্লেখ্য, কার্ড পাওয়ার পর এক বছরের জন্য সিআইপিরা ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তারা। এ ছাড়া শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে সরকার। এ ছাড়া বিদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের সুযোগ পাবেন সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে।