সিটি নির্বাচনে বিতর্কিত লোককে মনোনয়ন দেয়া হবে না : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সৎ, যোগ্য এবং জণগনের কাছে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। কোনো বিতর্কিত লোককে মনোনয়ন দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। কারণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাচাই-বাছাই করে যার জনপ্রিয়তা বেশি এবং বিজয়ী হতে পারবেন এমন ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
আজ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হবে।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনে কাজ করবে। সরকার তাদেরকে সহায়তা করবে। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় বলে নির্বাচন কমিশন সেইভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি সেইভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পরে আমাদের চ্যালেঞ্জ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তিসহ দলের যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অবদান রয়েছে। আমাদের শক্তি ও প্রেরণার উৎস তৃণমূল। সেই কারণে এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে তৃণমূল নেতাদের স্থান দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দল শক্তিশালী হলে সরকারও শক্তিশালী হয়। সে কারনে নবীণ-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত আওয়ামী লীগের এবারের কমিটি দলকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে। নারীদের গুরুত্ব দিয়ে এবারের কমিটিতে ২৫ শতাংশ নারী রাখা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমাবেশ করবে এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বিরোধী দলকে শক্তিশালী হতে হয়। নতুন বছরে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি একান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়। এখনই কিছু বলা যাবে না।
আগামীকাল সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

৩ জানুয়ারি সকাল ৭টায় বাসযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। সেখানে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৪ জানুয়ারী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকালে র‌্যালি এবং বিকালে পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহবুদ্দিন ফরাজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।