সিটি নির্বাচনে লাঙ্গলের বিজয়ের অপেক্ষায় রংপুরবাসী: দাবি জাপা মহাসচিবের

কাজী লুৎফুল কবীর: জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তাঁর দল। রংপুরের লাখো জনতা জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় উৎসবের জন্য অপেক্ষায় আছেন। রংপুরবাসীর সঙ্গে সারা দেশের লাখ লাখ এরশাদ প্রেমিক জনতাও লাঙ্গলের বিজয় উৎসবের সামিল হওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

বুধবার ২০ ডিসেম্বর রংপুর শহরের অদুরে মিঠাপুকুর উপজেলায় জাতীয় পার্টির স্থানীয় এক নেতার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জাপা মহাসচিব এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সুনীল শুভ রায়, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, আমির হোসেন এমপিসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

মতবিনিময়ে সময় হাওলাদার বলেন, দলের সিনিয়র নেতা ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে গত চারদিন ধরে এখানে অবস্থান করছি। চারদিন ধরে রংপুরের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তারা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রংপুরে ৯১ সালের মতো লাঙ্গলের ভোট বিপ্লব হবে। কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র, লাঙ্গলের বিজয় ঠেকানো যাবে না।

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদও বর্তমানে রংপুরে তার নিজের বাসভবনে অবস্থান করছেন। তিনি রংপুরের আসার পর থেকে এখানে লাঙ্গলের পক্ষে জোয়ার গতি বেড়েছে অনেক। গত ছয় দিন, এখানে অবস্থান করে লাঙ্গল ও পল্লীবন্ধুর প্রতি জনগণ ও ভোটারদের অবিচল আস্থা ও নির্ভরতা দেখে, আমি বিশ্বাস করি,সিটি নির্বাচনে কোনো দায়িত্বশীল গোষ্ঠী অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা করবে না।

তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে বিজয়ের মধ্যদিয়ে বিজয়ের মাসে রংপুর থেকেই জাতীয় পার্টির নতুন অগ্রযাত্রা শুরু হবে।

এদিকে রংপুরে অবস্থানরত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জানিয়েছেন, এমপি হওয়ার কারণে আমরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারিনি। তাই মহসচিবের সঙ্গে রংপুরের অদূরে অবস্থান করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় করছি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জাতীয় পার্টির শতশত নেতাকর্মী মহাসচিবে সঙ্গে সাক্ষাত করতে মিঠাপুকুরে আসছেন। বৃহস্পতিবার এখান থেকেই আমরা মহাসচিবের নেতৃত্বে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবো।

স্থানীয় জাপা সূত্র জানায়, শুধু মিঠাপুকুর নয়, রংপুরে এরশাদের বাসভবন পল্লীনিবাস ও রংপুর সিটির বাইরে ভিন্ন জগৎ নামে একটি রেস্ট হাউস থেকেও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা ভাগ হয়ে ভোটের দিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। মিঠাপুকুরের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে নেতৃত্ব দেবেন পার্টির মহসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। সঙ্গে থাকবেন দলের এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। ভিন্নজগৎ রেস্ট হাউস কেন্দ্রে মশিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বে পার্টির সিনিয়র নেতা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়া পল্লীনিবাস থেকে রংপুর সিটি জাতীয় পার্টির একটি টিম পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন দে আজকের বাজারকে জানান, ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটিতে মেয়র পদে বিজয়ের মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টির বিজয়যাত্রা শুরু হবে। কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র, পার্টির বিজয় যাত্রা রুখতে পারবে না। কোনো অপশক্তি যদি নির্বাচনে ফলাফল পাল্টানোর অপচেষ্টা করে, তাহলে রংপুরের এরশাদ প্রেমিক বীরজনতা তা কঠোর হাতে প্রতিহত করবেন।

তিনি আরো জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৃহত্তর রংপুর বিভাগের সকল জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নসহ সারাদেশ থেকে জাতীয় পার্টির হাজার হাজার নেতাকর্মী স্ব স্ব উদ্যোগে এখন রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে বিভিন্ন ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ীতে অবস্থন নিয়েছেন। তারাও বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর রাতে লাঙ্গলের বিজয়ে সামিল হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।

আজকের বাজার: এলকে/ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭