সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। ওই জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর নতুন করে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে যমুনায় পানি বাড়ার হার কমেছে।

১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, গতকাল বুধবার সন্ধা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি জেলা পয়েন্টে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে এখনও বিপদ সীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপরে থাকায় যমুনা পাড়ের সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। একইসঙ্গে পাউবোর নদী তীর রক্ষা বাঁধের কিছু কিছু স্থানে ভাঙ্গনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২১ সেন্টিমিটার বেড়েছিল।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ৩১টি ইউনিয়নের ২২৪টি গ্রামের ৪০ হাজার ৬৪০টি পরিবারের প্রায় ৭৪ হাজার ৮৬ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব উপজেলার ১২৫০টি বাড়িঘর সস্পূর্ণ এবং ৭ হাজার ৫৪২টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ১১৮ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আরশেদ আলী বলেন, চলমান বন্যায় জেলার ওই ৫টি উপজেলার ৭ হাজার ৫১৭ হেক্টর এলাকায় ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হবে না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মো. ইউসুফ রেজা বলেন, জেলার ৪টি উপজেলায় প্রায় ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১৩ জুলাই ২০১৭