সিরিয়ার নতুন সংবিধান বিষয়ে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি

সিরিয়ার নতুন সংবিধান প্রনয়ণ বিষয়ে অষ্টম দফার আলোচনা শুক্রবার শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ¦ী বিরোধী দলগুলোর সাথে আলোচনায় একেবারে যতসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতাকারী একথা জানান। খবর এএফপি’র।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার সাংবিধানিক কমিটি গঠন এবং এর এক মাস পর প্রথম বৈঠক আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে সম্ভাব্য আলোচনার লক্ষ্য যুদ্ধপ্রবণ এদেশের সংবিধান পুনর্লিখন । এক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে এই আলোচনা বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
জাতিসংঘ দূত গির পেডারসানের মধ্যস্থতায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের ১৫ প্রতিনিধির  মধ্যে এই আলোচনা হয়।
তবে নরওয়ের ওই কূটনীতিক বলেন, সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সভাপতিত্বে চলতি সপ্তাহের অষ্টম দফার আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করা, সংবিধানের শক্তি প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর করা ও অন্তবর্তীকালীন শাসন ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক মূলনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এক দিন প্রতিনিধি দলের উপস্থাপন করা প্রত্যেকের মূলনীতি নিয়ে সাংবিধানিক খসড়ার বিষয়ে আলোচনা  হয়।
ওই সপ্তাহের আলোচনার পর পঞ্চম দিন শুক্রবার প্রতিনিধিরা খসড়া সংবিধানের সংশোধনী জমা দেন।
সভাপতিরা আগামী ২৫ থেকে ২৯ জুলাই জেনেভায় নবম দফার আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
সিরিয়ার শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবি জানানো বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমনপীড়নের পর ২০১১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।