সিরিয়া হামলায় তোপের মুখে টেরিজা মে

পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ায় হামলা করায় তীব্র সমালোচনায় পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, সিরিয়ার হোমস শহরে একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। ধারণা করা হয়, এই ঘাঁটিতে বাশার আল-আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ রেখেছেন। মানবিক কারণে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান টেরিজা মে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়ায় হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের নেতাদের সমর্থনকে টেরিজা মে স্বাগত জানান। রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ এবং বৈশ্বিক আইন রক্ষা করাই হামলার উদ্দেশ্য। এ ছাড়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার কখনই যাতে স্বাভাবিক না হয়, সেটাও এ হামলার মাধ্যমে বোঝানো হবে।

লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) জন উডকক জানান, সিরিয়ায় হামলা চালানো ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী সোমবার পার্লামেন্টের জন্য অপেক্ষা করেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ওই হামলায় যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হবে, কেন তিনি আগে থেকে ভোটাভুটি করে সিদ্ধান্ত নেননি।’

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। গ্রিন পার্টির নেতা লুকাস ও জনাথান বার্টলে বলেন, ‘মে সংসদীয় গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছেন।’

এদিকে, এই বিমান হামলাকে আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ হামলার ঘটনায় জাতিসংঘে জরুরি সভার আহ্বান করবেন বলেও জানান তিনি। রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনে স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে পুতিন এসব বলেন।

পুতিন বলেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা এলাকায় সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলার ঘটনাটি সাজানো। আর এ হামলার জন্যই ওই ঘটনাকে কাজে লাগানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা এলাকায় রাসায়নিক হামলার পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। বাশার আল-আসাদের সরকার সব সময়ই দুমায় রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করে আসছে।

আজকের বাজার/আরজেড