সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মিষ্টি বিনিময়

অল্প কিছুক্ষণের জন্য হলেও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের এই আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগাভাগি করে নিলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। একে অপরকে করালো মিষ্টি মুখও। দেওয়া হলো শুভেচ্ছা উপহারও।

আজ সোমবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় হিলি সীমান্তের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় বিজিবির পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বন্ধুত্বের এই বন্ধন। সেখানে আগে থেকেই দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএসএফের সদস্যরা।

এ সময় উভয় বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডাররা স্যালুটের মাধ্যমে নিজেদেরকে সম্মান জানান। এরপর বিজিবি দিবসটির শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার স্বরূপ মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন বিএসএফের হিলি বিওপির কোম্পানি কমান্ডারকে। কিছু পর বিএসএফও শুভেচ্ছার মাধ্যমে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন হিলি সিপি বিওপির বিজিবিকে।

এসময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলিও করেন তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি-বিএসএফের নারী সদস্যরা। বন্ধুত্ব এবং সম্প্রীতি প্রত্যক্ষ করেন উভয় দেশে আসা-যাওয়ার সময় পাসপোর্ট যাত্রী সহ স্থানীয়রা।

বিজিবি’র হিলি চেকপোস্ট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবু নাছির জানান, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সীমান্তে উভয় বাহিনীই নিজ নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। তাই বিজিবি এবং বিএসএফ আমরা এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এই ছোট আয়োজন।

তিনি জানান, বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টর কমান্ডার ও পতিরাম ১৯৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নামে ৫টি মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে তাদের পক্ষে থেকেও মিষ্টির প্যাকেট আমাদের দেওয়া হয়।

এদিকে বিএসএফের হিলি ক্যাম্পের সহকারী অধিনায়ক হাপুনি কাশে জানান, বিএসএফের পক্ষে বিজিবিকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। আমরা উভয়েই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্তরিকতার সাথে সীমান্তে কাজ করছি। এই ধরণের আয়োজন আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।

আজকেরবাজার/অয়াই/আইস/এস