সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে মিয়ানমার

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। পরে বাংলাদেশের উৎকন্ঠা দেখে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দেশটি। শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের ঘুনধুম ক্যাম্পের সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকে এ কথা জানায় তারা।

শুক্রবার বিকাল তিনটায় গুমধুম পয়েন্টে বৈঠকটি শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষ হয় সাড়ে চারটায়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে সাত সদস্যের একটি দল অংশ নেয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে তমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করে মিয়ানমার। এ ঘটনার কারণ জানতে বিজিবি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি দেশটি। পরে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানায়।

এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে জোরদার করা হয় বিজিবির অবস্থান। এরপর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ভারী অস্ত্র-শস্ত্র সরিয়ে নেয়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাখাইন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা আনুমানিক সাত হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের তমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় আটকে রয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই মিয়ানমারের বিজিপি তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার সামরিক পিকআপ, ট্রাক ও ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য শূন্য রেখা থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভেতরে অবস্থান নেয়। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শূন্যরেখায় আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে।

এমআর