আজ নেইমার ছাড়াই সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি ব্রাজিল

দলে নেই নেইমার তারকার অভাব নেই দলে আছেন রিচার্লিসন, ভিনিসিউস জুনিয়র, রাফিনহা ও রদ্রিগো। তারপরও দলে একজনের অভাব স্পষ্ট। সার্বিয়ার বিপক্ষে গোড়ালির চোট নিয়ে বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না ব্রাজিল। অপ্রতিরোধ্য সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার দলের নেইমারকে ছাড়াই নামছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

নেইমার নেই বলে তাদের বিপক্ষে খেলাটা সহজ, তা মনে করছেন না সুইজারল্যান্ড কোচ মুরাট ইয়াকিন, ‘প্রত্যেকে দারুণ দক্ষ, এমনকি সেন্টার ব্যাক ও গোলকিপারও। তারা এখানে এসেছে শিরোপা নিতে।’

ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুরু করা সুইজারল্যান্ড বুঝতে পেরেছে, ব্রাজিল নেইমারকে ছাড়াও কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে রিচার্লিসনের গোলটাই তার প্রমাণ। সার্বদের বিপক্ষে ৯ নম্বর জার্সিধারী ফরোয়ার্ড চোখ ধাঁধানো সিসর কিকে গোল করে এখন প্রশংসিত।

ইয়াকিনের মতে, ওই গোলটি কাতারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দর্শনীয় মুহূর্ত। সুইজারল্যান্ডের কোচ বললেন, ‘একদম, এজন্যই আমরা ফুটবল ভালোবাসি, এই কারণে আমরা এটা দেখি, এই ধরনের গোল দেখার জন্য।’

নেইমারের অভাব বোধ করলেও দলের অন্যদের ওপর আস্থা আছে ব্রাজিল কোচ তিতের, ‘হয়তো আমরা ভিনির কাছ থেকে চোখ ধাঁধানো কিছু ড্রিবল দেখবো, হয়তো বা কিছু সৃজনশীলতা দেখবো যখন রিচার্লিসন দারুণ ফিনিশিং করবে কিংবা পেদ্রো হেড করবে। এতসব চাপের মধ্যেও তারা যেভাবে শান্ত থেকে এসব করে, সেটা মুগ্ধকর।’

দুই দলের লড়াইটা নিশ্চিতভাবে হবে হাড্ডাহাড্ডি। ব্রাজিলকে আটকানোর পথ ভালো করেই জানে সুইশরা, তার প্রমাণ গত বিশ্বকাপেই মিলেছে। ২০১৮ সালে নেইমারের ব্রাজিলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ইউরোপিয়ান দলটি। রাশিয়ায় বেঞ্চে বসে ওই ম্যাচটা দেখা মারকুইনহোস এখন মূল দলের সেন্ট্রাল ডিফেন্সে। তিনি বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে জেতা খুব কঠিন।’

আসলেই সুইজারল্যান্ডকে সহজ মনে করার কারণ নেই। গত দেড় বছরে প্রতিপক্ষদের অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি করেছে সুইশরা। এই বছর নেশনস লিগে পর্তুগাল ও স্পেনকে হারিয়েছে। গত বছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্সকে বিদায় করেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইতালির পথরোধ করে কাতারের টিকিট কেটেছে।

সুইজারল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড চতুর্থ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া জারদান শাকিরি বললেন, ‘সেরা দলগুলো আমাদের চ্যালেঞ্জ করে এবং আমরা গোল করতে পারি। যদি আমরা একটি গোল করি, আমি মনে করি আমরা ম্যাচ পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারি।’

গত বৃহস্পতিবার ক্যামেরুনের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন শাকিরি। তাতেই সুইজারল্যান্ডের ঝুলিতে গেছে তিন পয়েন্ট।

এনিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয়বার দেখা হচ্ছে সুইজারল্যান্ড ও ব্রাজিলের। গতবারের আগে ১৯৫০ সালের দেখাতেও ২-২ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। হেড টু হেডে বিশ্বমঞ্চে কে এগিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার পালা। সব মিলিয়ে ৯ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্রাজিল তিনটি আর সুইজারল্যান্ড দুটি জিতেছে, ড্র হয়েছে চার ম্যাচ। আজ যে দল জিতবে, অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে নকআউট পর্ব। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।