সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা বাংলাদেশির সংখ্যা বেশি নয়

সুইস ব্যাংকে খুব বেশি সংখ্যক বাংলাদেশির অর্থ জমা নেই বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১২ জুলাই বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ত্যাগ করার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল যে স্টেটমেন্ট দিয়েছি, তাতে এটা প্রমাণীত হয়- আমাদের খুব বেশি লোকের টাকা সুইস ব্যাংকে নাই। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নো নো কোনো অর্থ বাড়েনি, কমেছে। বরং স্টেটমেন্টে বলেছি যে গত বছরের চেয়ে অর্থের পরিমান কমেছে। ব্যাংকটিতে বাংলাদেশিদের অর্থপাচারের যে খবর সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তা সব দিক দিয়ে সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এ সময় ফের অর্থবছর পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা এতো এখনই হবে না। আরো দুই-তিন বছর লাগবে। আলোচনাটা শুরু হোক, তারপর দেখা যাবে।

‘সুইস ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ঢাকায় থাকেন এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের ওখানে টাকা রাখার জন্য প্রলুব্ধ করেন’-দুদক চেয়ারম্যান এমন বক্তব্য সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এ ধরণের কোনো তথ্য নেই।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সংসদে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের অর্থ নিয়ে বিবৃতি দেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে যে ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব হয় সেটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাস্তবে এটি মোটেই অর্থ পাচার নয়। এসব হিসাবে ব্যক্তি খাতে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক আছেন যারা বিদেশে কাজ করেন অথবা স্থায়ীভাবে অবস্থান করেন। তাদের হিসাবও এটা অন্তর্ভুক্ত আছে। সে হিসাবটি দেয়া যাচ্ছে না। কেননা যেসব বাংলাদেশি তাদের পাসপোর্টকে পরিচয় চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাদের সংখ্যা আমাদের জানা নেই। এতে প্রতিপন্ন হয়, টাকা পাচারের বিষয়টি মোটেই তেমন কিছু নয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যে হিসাবগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এগুলো হলো লেনদেনের হিসাব, সম্পদের হিসাব। এটাকে অন্যায়ভাবে পাচার বলে প্রচার করা হয়েছে, এজন্য দেশে একটা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার হয় না এ কথা বলা যাবে না। সত্যিই কিছু পাচার হয়, কিন্তু এটা নজরে পড়ার মতো নয়, অত্যন্ত যৎসামান্য।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১২ জুলাই ২০১৭