সুখের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সোনালী আঁশ

বছরের পর বছর লোকসানের বোঝায় যাদের কাঁধ ভারি হয়েছিলো আজ সেই সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষিদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। জমি থেকে পাট তোলা ও জাগ দেওয়ায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন চাষিরা। আবার জাগ দেওয়া পাট তুলে তা থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন কৃষাণিরা। সেই আঁশ ধুয়ে-শুকিয়ে ঘরে তোলার আগেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে নেত্রকোনায়। ন্যায্য দাম পাওয়ায় পুরোনো লোকসান কাটিয়ে লাভের স্বপ্ন বুনছেন পাট চাষিরাও। বাড়তি আয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফেরায় কৃষক-কৃষাণির মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। গত দেড় বছর করোনার কারণে বড় ধরনের লোকসান হলেও আগামীতে পাটের দাম আরো বাড়বে বলে আশাবাদী চাষিরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় চার হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা করোনা পূর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। তবে চলতি মৌসুমে নেত্রকোনার বারহাট্টা, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাটের ভালো ফলন হওয়ায় চাষিরা আবারো পাট আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

নেত্রকোনার বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০-৪০০০ টাকায়। এ পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকরা দৈনিক আয় করছেন ১৫০-২০০ টাকা। আগামীতে পাটের আবাদ বৃদ্ধির পাশাপশি অধিক সংখ্যক শ্রমিক এ পেশায় আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় পাট চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এফ.এম মোবারক আলী জানিয়েছেন, বরাদ্দ পেলে পাট আবাদে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে নেত্রকোনায় পাটের উৎপাদন আবারো বাড়বে। বাজারে পাটের ন্যায্য দাম ধরে রাখতে নেয়া হবে নানা পদক্ষেপ।

তিনি আরো জানান, যে জমিতে পাট চাষ হয় এটিতে পরবর্তীতে ধানের ফলন খুব ভালো হয়। কারণ পাট চাষের পর জমিতে জৈব সার তৈরি হয়। যা ধান চাষের জন্য অনেক উপকারী। সবসময় দাম ভালো পেলে পাট চাষিরা আগ্রহী হবেন। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান