চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়লেও বিসিবি অনেক চেষ্টা করেছিল তাকে বহাল রাখার। তবে লঙ্কান কোচ আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে কাজ করতে আর আগ্রহী নন তিনি। ফলে বাংলাদেশকে এখন খুঁজতে হচ্ছে হাথুরুর বিকল্প।
হুট করে জাতীয় দলের জন্য হাই প্রোফাইল একজন কোচ পাওয়া সময়সাপেক্ষ। কিন্তু সামনেই বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ। আর ঐ সিরিজে একজন অন্তর্র্বতীকালীন কোচ রাখার পরিকল্পনা বিসিবির। সেই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, যিনি ইতিপূর্বে জাতীয় দলের সহকারি কোচ ও ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।
সোমবার বিপিএলের প্রথম ম্যাচের বিরতির সময় সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এর মধ্যে সিরিজ (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) শুরু হবার আগে যদি বাইরের কোচ না আনি বা ফাইনাল করতে না পারি, তাহলে অবশ্যই লোকাল কোচ হবে। খালেদ মাহমুদ সুজনের সম্ভাবনাই বেশি। তার উপরই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।’
কোচের পদ ছাড়লেও এরই মধ্যে একবার ঢাকা আসার কথা ছিল হাথুরুসিংহের। যদিও এখনও তার পায়ের ধুলো পড়েনি! এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘তার আসার কথা ছিল। এই দু-একদিনের মধ্যেই তার আসার কথা ছিল। লাস্ট আমাদের সিইও সুজন (নিজাম উদ্দিন চৌধুরী) আমাকে জানিয়েছে, তাকে (সিইও) একটা চিঠি পাঠিয়েছে । কয়েকদিন পরে সে আসবে। এইটুকুই জানি এখন পর্যন্ত।’
পাপন বলেন, ‘কেউ যদি থাকতে না চায় তাহলে আমরা তো তাকে জোর করে রাখতে পারি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তা করা ঠিক হবে না। আমরা তাই সেদিক যাইনি। তবে ওর কাছ থেকে দুটো জিনিস দরকার। সিরিজের রিপোর্ট আর পদত্যাগের কারণটা কী- এটা জানা দরকার। সে যদি মনে করে স্বেচ্ছায় চলে যাবে, তাহলে কোনো কথা নেই।’
পাপন মনে করছেন, হাথুরুসিংহে পদত্যাগের সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন হুট করেই, ‘আমার মনে হয় না। প্রথম টেস্টের (দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে) পরেও সে যে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছিল, বিশ্বকাপের জন্য কী করতে হবে না হবে, এসব নিয়ে কাজ করছিল। তাই আমার মনে হয় না, এটা পূর্ব পরিকল্পিত কিছু। যে জিনিসটা হল, দ্বিতীয় টেস্টটা যেদিন শেষ হল, সেদিনই সে পদত্যাগ পত্রটি লিখেছে। তাতে বোঝা যায়, ওই সময়ের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। তখন সিদ্ধান্তও নিয়েছে যে, সে আর থাকবে না।’
আজকের বাজার: সালি / ২০ নভেম্বর ২০১৭