নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামে একটি বাড়ির নলকূপ থেকে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। নলকূপ থেকে এভাবে গ্যাস বের হওয়ার খবর এলকায় প্রচার হলে প্রতিদিন শতশত মানুষ এ দৃশ্য দেখতে ভিড় করছে।
নলকূপের মালিক মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে নলকূপটি থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। নলকূপের মাথায় দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন দিলে তা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে।
মাস খানেক আগে আমন ধানে সেচ দেয়ার জন্য চার ইঞ্চি ব্যাসের ৪২০ ফুট পাইপ পুঁতে নলকূপটি স্থাপন করেন বলে জানান জামাল উদ্দিন। এরপর সেখান থেকে দুদিন পানি ওঠার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। নলকূপের চারপাশে পানিতে বুদবুদ দেখে তারা বুঝতে পারেন এখানে গ্যাস আছে। আগুন জ্বালিয়ে এর সত্যতা পান।
এতদিন কেন প্রকাশ করেননি- এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এখানে গ্যাস রয়েছে এমনটা নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করায় ঘটনার বিষয়ে কাউকে তাৎক্ষণিক জানানো হয়নি। কিন্তু তিনি না বললেও বাড়ির অন্য লোকজন বিষয়টি ছড়িয়ে ফেলে। এভাবে এক দুই কান হতে হতে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে এ খবর।
জামাল উদ্দিনের বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড়। নলকূপের মুখে আগুন জ্বলছে। আর এ দৃশ্য চারপাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন উৎসুক জনতা। ওই বাড়ির এক সদস্য জানান, রাতে নলকূপের মুখে আগুন দিলে পুরো বাড়ি আলোকিত হয়ে যায়।
জানতে চাইলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে নলকূপটির মুখ থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। যা দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন দিলে জ্বলতে থাকে। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু ওয়াদুদ বলেন, নলকূপের মুখ দিয়ে গ্যাস বের হওয়ার খবর তিনি শুনেছেন। তবে এখনও সরেজমিন পরিদর্শন করতে পারেননি। সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. সোলাইমান বলেন, বিষয়টি তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে শুনেছেন। এ বিষয়ে দুইজন প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৮ নভেম্বর ২০১৭