সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে স্বস্ব অবস্থান থেকে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫০ বছরপূর্তি ও ‘গণপ্রকৌশল দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে সর্বস্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নীল অর্থনীতি এনে দেবে সমৃদ্ধি’ নির্ধারণ সময়োপযোগী হয়েছে। এরই আলোকে বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী আইডিইবি’র নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধের উষালগ্নে আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে তাঁর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বহু প্রকৌশলীর আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম সামরিক আইন ভঙ্গ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অনন্য ভূমিকা পালন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য গৌরবময় ইতিহাস।
তিনি বলেন, আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছরে মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধু’র শিক্ষাদর্শন বাস্তবায়ন, প্রযুক্তিমনস্ক জাতিগঠনে রাজনীতিতে প্রযুক্তিভাবনা যুক্তকরণ, দেশের নদ-নদী রক্ষা, পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কৃষিজমি রক্ষা এবং পরিকল্পিত নগর ও গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়সহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আইডিইবি’র সময়োপযোগী আহ্বান জনগণকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইডিইবি’র ৪৯ বছরের দীর্ঘপথ পরিক্রমায় এসব প্রযুক্তি নির্ভর দার্শনিক আহ্বান অতীত, বর্তমান, অনাগত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আইডিইবি’র ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ ও ‘গণপ্রকৌশলী দিবস ২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।