আগামীকাল ২৩ অক্টোবর সোমবার থেকে দেশের বাজারে আবার মিলবে জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশের সহনশীল উৎপাদন বজায় রাখার লক্ষ্যে ইলিশ ধরায় ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠছে আজ মাঝরাত থেকে।
কাল থেকে আবারো দেশের নদীগুলোতে ইলিশ মাছ ধরতে পারবের জেলেরা। ব্যবসায়ীরাও বিক্রি করতে পারবেন কাঙ্খিত এই মাছ।
এবছর ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এই সময়টাতে সারা দেশেই নিষিদ্ধ ছিল ইলিশ বিক্রি ও সংরক্ষণ।
তবে এর মধ্যেও সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনেক এলাকায়ই চলেছে ইলিশ শিকার। কোনো কোনো এলাকায় অভিযানে ইলিশসহ আটক করা হয়েছে জেলেদের। তাদের কারও কারও হয়েছে ১ বছর থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
গত ১ অক্টোবর সরকার এক ঘোষণায় বলে, আজ থেকে দেশের নদনদীগুলোর ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ইলিশ ধরা মাছ ধরা, দেশের যেকোনো জায়গায় ইলিশ পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হামিদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আলোচ্য সময়ের মধ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী এই ২৭টি জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ, ভোলা জেলার মনপুরা, ঢলচর, নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার কালিরচর ও মৌলভীর চরকে ইলিশের বিশেষ প্রজনন এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দি পয়েন্ট, ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দিন হতে পশ্চিমে সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া হতে গণ্ডামারা পয়েন্ট প্রধান প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২২ অক্টোবর ২০১৭