সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

গণতন্ত্রের মানসপুত্র, উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গেও মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সোহরাওয়ার্দীর জন্ম। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল তার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল নেতাদের অন্যতম। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি। তাই তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যা দেয়া হয়।

সোহরাওয়ার্দীর পুন্য স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।

মন্ত্রী বলেন,তার নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলী জাতিকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি অসাধারণ অবদান রেখেছেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এই নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হাইকোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত ।

১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মারা যান। ঢাকার হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে প্রখ্যাত এই নেতার সমাধি রয়েছে।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭