সৌদিতে ১০ বছরে নারী উদ্যোক্তা বেড়েছে ৩৫%

নারীদের প্রতি বিরুদ্ধাচরণ উঠিয়ে নিতে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সৌদি আরব। ফলে অনেক বছর ধর্মীয় ও পুরুষতান্ত্রিকতার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হওয়া দেশটিতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে এখন নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক হারে বেড়ে চলেছে। বর্তমানে আরবে মোট উদোক্তাদের প্রায় ৩৯ শতাংশই নারী ও সফল উদোক্তা বলে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই গত ১০ বছরে হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ব উদ্যোক্তা দিবস উপলক্ষে কাউন্সিল অফ সৌদি চেম্বারস ও অন্য দুটি সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানান আয়োজকরা।

গণমাধ্যমটি জানায়, ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা উৎসাহজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ১০ বছরে মোট ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ এরমধ্যে ৩৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা সফলভাবে সৌদি আরবের মূল অর্থনৈতিক খাতে নিজেকে যুক্ত সক্ষম হয়েছেন।

প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান কলেজ অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেইনারশিপ প্রতিষ্ঠানটির ডিন ড. নাবিল কুসাক জানান, যথোপযুক্ত পরিবেশ ও পর্যাপ্ত উৎসাহ পাওয়ার কারণে নারীরা এ মূল্যবান অবদান রাখতে পেরেছে। এরকম পরিবেশ বজায় থাকলে নারীরা তাদের মেধা ও দূরদৃষ্টি দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণও ভিশন ২০৩০ এর একটি অংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তেল ও প্রাকৃতিক সম্পদ নির্ভর দেশ সৌদি অর্থনীতিকে চাঙা করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেব সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ইসলামের কট্টর পন্থা থেকে সরে আসার পাশাপাশি বিশ্বের অন্য ধর্ম ও জাতির সঙ্গে যেন সমন্বয় করে চলা যায় সেই লক্ষ্যে উদারপন্থী ইসলামিক নীতিতে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

সৌদি আরবের অর্থনীতিকেও নতুন করে সাজাতে তার পরিকল্পনা মতো দেশটি ভিশন-২০৩০ হাতে নিয়েছে।

এর প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের জুন মাসে হোটেলের প্রধান বাবুর্চি হতে নারীদের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পাশাপাশি নভেম্বরে সৌদি আরবে চশমার দোকানে কাজ করার অনুমতি পায় নারীরা। তখন প্রায় ১৩ হাজার নারীকে এ কাজের জন্য উপযুক্ত বলে ধরা হয়।

এছাড়াও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি, অক্টোবরে স্টেশনে বসে খেলা দেখার অনুমতি প্রাপ্তিকে বেশ ভালো চোখেই দেখছেন সমালোচক ও উন্নয়নপন্থীরা।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৮ নভেম্বর ২০১৭