এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই ধর্ষকের বৌভাতের অনুষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কোন্নগর গ্রামের নানার বাড়ি থেকে ধর্ষক আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আকরাম ছোটবেলা থেকেই নালিতাবাড়ীর মরিচপুরাণ ইউনিয়নের কোন্নগর গ্রামে নানাবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
সেই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে তিনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স্থানীয় কোন্নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে নানাভাবে প্রলোভনের মাধ্যমে আকরাম প্রেমিকার কাছে চিঠি আদান-প্রদানের কাজ করাতেন।
একপর্যায়ে আক্রাম ওই চিঠি আদান-প্রদানকারী ৪র্থ শ্রেণির মেয়েটিকেও কৌশলে ভালোবাসার জালে ফেলে গত ১৩ জুলাই রাতে বাড়ির পাশের রান্নাঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি ওই স্কুলছাত্রী তার ভাবিকে জানালে তিনি মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপচাপ থাকেন।
এদিকে শুক্রবার গোজাকুড়া গ্রামের অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন আকরাম। শনিবার দুপুরে নানাবাড়িতে তার বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান চলছিল। ঘটনার পর থেকে ওই স্কুলছাত্রী বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় দুপুরে এক শিক্ষক তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হলে ধর্ষণের ঘটনাটি ফাঁস হয়। পরে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর পরিবার নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত পুলিশ অভিযুক্ত আকরামকে বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফসিহুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আকরামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মেয়েটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
আজকের বাজার/আরআইএস