স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি হতে শিক্ষিত ও সম্মানিতদের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে: তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষিত ও সম্মানিত ব্যক্তিরা যাতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারে তার জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মানজনক জায়গায় আনতে হবে। যাতে শিক্ষিত ও সম্মানীয় ব্যক্তিরা স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তাজুল ইসলাম আরো বলেন, আর কোন প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। বর্তমানে শিক্ষিত ও সম্মানিত লোকজন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন অংশ নিতে চায় না সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

তাজুল ইসলাম আজ সকালে রাজধানীর কাকরাইলের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকাল গর্ভন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩(এলজিএসপি-৩)’র উদ্যোগে‘ইউনিয়ন পরিষদকে অধিকতর কার্যকর ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে করণীয় নির্ধারণ’শীর্ষক এক জাতীয় কর্মশালয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রধান কাজ হলো মানুষকে সুশাসন দেয়া, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ও স্বস্তিতে রাখা। আর তাই স্থানীয় সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য তাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা যাবে না। তিনি বলেন, যখন মানুষ বুঝতে পারবে স্থানীয় সরকার তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে তখন তারা টাকা দেবে । ইউনিয়ন পরিষদকে দু’ভাবে ক্ষমতায়ন করা যায়। সেবা দিয়ে যেমন শ্রদ্ধাবান হওয়া যায়, তেমনি সম্মানও পাওয়া যায়।

তাজুল বলেন, অন্যদিকে অত্যাচার ও নির্যাতনের মাধ্যমেও ক্ষমতাবান হওয়া যায়। কিন্তু সভ্য সমাজ তা অনুমোদন করে না। আর এ পথে যে ক্ষমতা পাওয়া যায় তা কখনো স্থায়ী হয় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত করার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তারও মূল লক্ষ্য হলো স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ন। এর মূল লক্ষ্য হলো জনগণকে ভ্যালু(মূল্য)দেয়া ও তাদের এনগেজমেন্ট(অংশ গ্রহণ)নিশ্চিত করা। তাজুল বলেন, আমরা গণতন্ত্রায়ণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। আর ইউনিয়ন পরিষদ এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি আরো বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কোন কমপ্রোমাইজের সুযোগ নেই। কারণ কোন ব্যক্তি কোন জনপ্রতিনিধির কাছে কোন সেবার জন্য দু’দিন ঘুরলে ওই ব্যক্তির যে কর্মঘন্টা ক্ষতি হয় তা দেশের অর্থনীতিতেই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দেশের পার্বত্য তিন জেলায় ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন দেয়া দরকার। কারণ স্থানীয়ভাবে যে অর্থ আয় করার কথা বলা হয়েছে তা পার্বত্য জেলার ইউনিয়নগুলো থেকে আয় করা সম্ভব হয় না। কর্মশালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অংশগ্রহণ করেন। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান