সততা ও ন্যায়নিষ্ঠভাবে রাজনীতি করি দাবি করে শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, আমি প্রমাণ করতে চাই- স্বচ্ছ, সততা, ন্যায়নিষ্ঠভাবে রাজনীতি করি বাংলাদেশে একটা মাত্র ব্যক্তি সেটা আমি। সেটা অতীতেও প্রমাণ দিয়েছি, ভবিষ্যতেও প্রমাণ দিব, ইনশাল্লাহ্।
আজ মঙ্গলবার অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ ও মোটা অংকের টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, আমি সত্য-ন্যায় নিষ্ঠ জায়গায় অবস্থান করছি, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে, অভিযোগগুলো বানোয়াট, মিথ্য, কল্পনা প্রসূত। আজ আমাকে অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। এই সমস্ত অভিযোগের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদেরকে বলেছি, যারা অভিযোগ করেছে তারাই প্রমাণ করুক।
তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম, গ্রামের থেকে আজকে এই পর্যন্ত উঠে আসছি। মূলত আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্যই অভিযোগগুলো করা হয়েছে।
বাড়ি-গাড়ি করার টাকা কোথায় পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো সেনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করেছি। অবৈধ কোনো সম্পদ নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, এটা দ্বারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না। কারণ এটা প্রমাণ করবো আমি স্বচ্ছ।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যলয়ে আতিউর রহমান আতিককে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জানা গেছে, হুইপ আতিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাসপোর্ট অফিস তিনআনি বাজারে বিলাসবহুল বাড়ি ক্রয়, গ্রামের বাড়ি কামারিয়ার ৩০ একরের বাগান বাড়ি তৈরি, ঢাকার বসুন্ধরা ও বনশ্রীতে দুটি প্লট, ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট, নামে-বেনামে শত কোটি টাকা অর্জন, নিয়োগ বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা, স্কুল-কলেজের এমপিও থেকে মোটা অংকের টাকা অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এস/