আপন জুয়েলার্সে অর্ডার, বুকিং ও মেরামতের জন্য রাখা আরও ২৯৪ গ্রাহকের স্বর্ণ ফেরত দেওয়া হবে। সেজন্য ৫ সদস্যের একটি মধ্যস্ততাকারী কমিটি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
জুয়েলার্সের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলা ও যাছাই শেষে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে গঠিত কমিটি গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দেবেন। ৭ জুন বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৮৫ জন গ্রাহককে ২.৩৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেওয়া হয়। গত ৪ জুন স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো-রুম থেকে ১৫ মণ ১৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ১০ কোটি টাকার হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়।
মইনুল খান জানান, আপন জুয়েলার্সের প্রকৃত গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে মধ্যস্থতায় ভূমিকা নেওয়ার অংশ হিসেবে শুল্ক গোয়েন্দা ৫ সদস্য কমিটি গঠন করেছে।
পাঁচ সদস্যদের গঠিত কমিটিতে রয়েছেন, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সাফিউর রহমান, উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন,এসএম শরিফুল হাসান,বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) একজন ও আপন জুয়েলার্সের একজন প্রতিনিধি।
উল্লেখ, বনানীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক। এই পরিবারের বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে তদন্ত শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। শুল্ক গোয়েন্দারা গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শো-রুমে এসব অলঙ্কার আটক করে মালিকদের জিম্মায় দিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়।
দুই দফায় শুল্ক গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হয়েও মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স।
আজকের বাজার : এলকে /এলকে ৭ জুন ২০১৭