‘স্বাধীনতার’ ভোটে কাতালানদের জয়

স্পেনের কাতালানে স্বাধীনতার দাবিতে অনুষ্ঠিত গণভোটে কাতালোনিয়ানরা জয়ী হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও সাংবিধানিক আদালতকে উপেক্ষা করে পুলিশের বাধার মধ্যেদিয়ে রোববার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাতালোনিয়ার নাগরিকরা স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন কাতালান সভাপতি চার্লস পুজডেমন্ট।

স্পেনের সাংবিধানিক আদালত এই ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে। ভোটে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে শত শত কাতালোনিয়ান আহত হয়েছেন।

কাতালান সরকারের মুখপাত্র জরদি তুরুল বলেন, কাতালানে রোববার মোট ভোট দিয়েছেন ৫৩ লাখ। এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ব্যালট পেপার গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন। পুলিশি বাধা না এলে ভোটদাতার সংখ্যা আরো বেশি হতো। সহিংসতার কারণে কমপক্ষে সাত লাখ ৭০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্স জব্দ করে পুলিশ। এক টেলিভিশন ভাষণে চার্লস পুজডেমন্ট বলেন, আশা ও দুর্ভোগের এই দিনে কাতালোনিয়ার নাগরিকরা স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, আমার সরকার কিছুদিনের মধ্যেই ভোটের ফলাফল কাতালান পার্লামেন্টে পাঠাবে। তবে ভোট শেষ হওয়ার পর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেন, অবৈধ ভোটে অংশ নিয়ে বোকার মতো কাজ করেছে কাতালোনিয়ানরা। তিনি এটাকে গণতন্ত্রের উপহাস বলে উল্লেখ করেছেন।

কাতালান সরকার বলছে, গণভোটে অংশ নেয়া কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনায় ৮ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

অপরদিকে, স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ওই ঘটনায় ১২ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে এবং তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ৯২টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

কাতালান স্পেনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গরাজ্য। পাঁচ বছর ধরে স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছিল তারা। এ দাবিতে গতকাল রোববার গণভোটের আয়োজন করে কাতালানের আঞ্চলিক সরকার। তবে স্পেন সরকার গণভোট বন্ধের অঙ্গীকার করে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও এই ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২ অক্টোবর ২০১৭