স্বামীর পাসপোর্ট দেখিয়ে ম্যানচেস্টার থেকে দিল্লি

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এখন তদন্ত করে দেখছে যে, কিভাবে একজন নারী তার স্বামীর পাসপোর্ট দেখিয়ে ৪ হাজার ২০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ম্যানচেস্টার থেকে দিল্লি চলে গেল। যদিও ওই নারীর আত্মীয়দের একজন বলছেন, ভুলবশত স্বামীর পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যবসায়িক কাজে তিনি দিল্লি যাচ্ছিলেন।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ইমিরেটস এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে তিনি চেক ইন করার সময় বিষয়টি ধরা পড়েনি। মূলত দিল্লি পৌঁছানোর পরই তিনি ভুলটি বুঝতে পারেন। এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, এক্ষেত্রে তাদের স্বাভাবিক উচ্চ মান অনুসরণ করা হয়নি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গীতা মোধা নামে ওই যাত্রীর একজন আত্মীয় বলছেন, দিল্লী পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন ফরম পূরণের সময় তিনি ভুলটি বুঝতে পারেন। পরে তাকে ভারতে আর ঢুকতে দেয়নি ইমিগ্রেশন এবং পরের ফ্লাইটে তাকে দুবাইতে ফেরত পাঠানো হয়।

আবার দুবাইতে এসে তাকে প্রায় এক রাত বিমানবন্দরেই থাকতে হয়। পরে এয়ারলাইন্সের কাছে তার নিজের পাসপোর্ট যাওয়ার পর তাকে দিল্লি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

তার আত্মীয়ের মতে এটি দুঃখজনক। তিনি খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। ভাবুন আপনি পথে রয়েছেন অথচ আপনার হাতে অন্যের পাসপোর্ট।

তিনি বলেন, প্রথমে চেক ইনের সময় বিষয়টি ধরা পড়লে তার নিজের পাসপোর্ট আনিয়ে নেয়ার মতো অনেক সময় তার হাতে ছিল। কারণ নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা আগে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন।

ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল। এয়ারলাইন্স বলছে, বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তারা এখন এটি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে কাজ করছে।

আজকেরবাজার/এস