স্বেচ্ছাসেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা হবে : তাজুল

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে স্বেচ্ছাসেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকলেও আমাদের দেশে তা নেই। এটা থাকা খুবই দরকার।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে, মানুষের বিপদে-আপদে এবং বিভিন্ন সংকটের সময়ে ছাত্র-শিক্ষক, তরুন-তরুনী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল শ্রেনীর মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা তাদের কাজের স্বীকৃতি সেভাবে পান না।
তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর মিন্টুরোডের সরকারী বাসভবনে জাতিসংঘ ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কথা বলেন।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ কতৃপক্ষের সচিব ও সিইও সুলতানা আফরোজ, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউএনভির এশিয়া এন্ড প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিনা মিয়া, ইউএনভি বাংলাদেশের কান্টি কো-অর্ডিনেটর আকতার উদ্দিন, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছাসেবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে কয়েকটি সাব-কমিটি থাকবে।
তিনি বলেন, এই জাতীয় নীতিমালার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম জোরদার করা হবে এবং দেশের উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিতে ও এসডিজি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্ত্রী বলেন, এই টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে থাকা সাব কমিটি সারা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বেচ্ছাসেবাকে কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায় তা নির্ধারণ করবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই জাতীয় নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে প্রধান পরামর্শক করে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়।