স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সহজ পাঁচ কৌশল!

অনেকের মধ্যেই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অনেক ছোট খাটো বিষয়গুলো মাথায় থাকতে চায় না। আবার এমন অনেক মানুষই আছেন, যারা কোনো ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনাও সঠিকভাবে দিতে পারে না। শুধুমাত্র ভুলে যাওয়ার কারণে।

ভাবতে পারেন যে আপনার মেধা কম! না, ধারণাটি ভুল। সবার মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তাই সবাই একভাবে মনে রাখতে পারে না। তবে কিছু সহজ কৌশল আছে, যেগুলো অবলম্বন করে আপানিও আপনার স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

> নিজে যা শিখতে চাচ্ছেন। তা একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান। অন্যজনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন আপনার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছেন। আবার শেখানোর মাধ্যমে আপনার চর্চাও হবে। নতুন কিছু বিষয়ে আপনার কোন চিন্তা থাকলে কারো সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা স্থায়ী হবে।

> একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।

> যদি কোনো কারণে আপনি মানসিক চাপে থাকেন, তখন তা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। বিষন্নতার কারণেই আপনার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। সঙ্গে রক্তে করটিসলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। তাই মানসিক চাপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন।

> ব্যায়াম শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলোতে চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো।

>গবেষকরা দেখিয়েছেন কিছু সংগীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারী। ব্যাপারটা এই রকম- কোনো ঘটনার সময় আপনি যদি কোনো গান শুনেন, তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।

আজকের বাজার/আরিফ