আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। এখন স্লোগানের রাজনীতি বন্ধ করে পজিটিভ অ্যাকশানের রাজনীতি করতে হবে। ভাষণ কম দিয়ে কাজ করতে হবে বেশি। সেই কর্মতৎপরতায় ছাত্রলীগকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই রাজনীতির আদর্শ হবে বঙ্গবন্ধু, আর একমাত্র নেত্রী হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর বাইরে ছাত্রলীগ কোন নেতার স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হবে না।’
১০ জুলাই সোমবার যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১৭তম বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বর্তমান কমিটি ভেঙে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
শহরের ঈদগা ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে কোন মাদকাসক্ত, অছাত্র, সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। মেধাবীদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তা না হলে অশিক্ষিত, সন্ত্রাসী আর অযোগ্যরা নেতা হবে। তারা সংসদ সদস্য হয়ে যাবে।’
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, কাজী নাবিল আহমেদ, রনজিৎ কুমার রায়, স্বপন ভট্টাচার্য্য, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দেব নন্দী, সাবেক পাঠাগার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিপু, ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, মাসুমা আক্তার পলি, উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক কাওছার হক, উপনাট্য বিতর্ক সম্পাদক সোহানী হাসান তিথী প্রমুখ।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১০ জুলাই ২০১৭