আমি মনে করি হাঁটার বিকল্পে মানুষের প্রথম যানবাহন বাই সাইকেল, প্রত্যক যানবাহনের জন্য পৃথক, পৃথক লেন থাকাটা অপরিহায্য ও গণত্রান্ত্রিক অধিকার।
বতমান সড়কে সাইকেল চলাচলের কোন উপযোগি নিরাপদ সড়ক নেই বলেই চলে, তাই সাইকেল চালকরা সড়কে জীবনের ঝুকি নিয়ে পথ চলতে হয়, মটর যানবাহন বাই সাইকেল একত্রে চলাচল নিরাপদ নয় বিধায় উন্নত বিশ্বে সাইক্লিস্টের জন্য পৃথক সাইকেল লেনের সুব্যবস্হা রয়েছে।
আমাদের দেশে সাইক্লিস্টের কোন পার্ক নেই, বিভিন্ন পার্ক গুলোতে সাইকেল চলাচল নিষেধ আজ্ঞা নোর্টিস দেখতে পাই, দুঃখের বিষয় আমাদের প্রজন্মরা নিরাপদে কোথায় গিয়ে সাইকেল চালাবে/ প্রশিক্ষন নেবে। এমন প্রতিবন্ধগতা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে দেশে যানজট একটি জাতীয় সমস্যা এটি আমাকে খুবই পিড়া দেয় এর থেকে পরিত্রান পাওয়া খুবই সহজ
যদি প্রসাশন থেকে যুব সমাজ কে সাইক্লিং উৎসাহিত করা যায় এতে দেশ ও জাতি যেমন উপকৃত হবে। তেমনি ভাবে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকায় রাখতে সখ্যম হবে।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ সামছুল হক বলেন, একটি পরিকল্পিত নগরের সড়ক করা হয় গণপরিবহন, পথচারী ও মোটরসাইকেল অথবা সাইকেলের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু ঢাকায় শুধু গণপরিবহন হিসেবে বাস আর পথচারীর কথা চিন্তা করে সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনো পরিবহনের কথা ভাবা আগেও হয়নি, এখনো হচ্ছে না।
একবিংশ শতাব্দীতে যখন বিকল্প বাহনের প্রসঙ্গ এসেছে, তখন সংশ্লিষ্টদের উচিত নতুন ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠা এলাকাগুলোতে এই সুবিধার কথা মাথায় রাখা।
যে টি সাইকেল লেনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ , ২০১০ সাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন হাতির ঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লেন ঢাকাতে চালু করা হয়নি, রাজশাহীতে দেশে প্রথম সাইকেল লেন বর্তমান সরকার চালু করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কয়েকটি সড়কে দেশি-বিদেশি অর্থায়নে সাইকেল লেন করার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে মাইকেল ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গুলশান ও বনানীতে সাইকেল লেন করা হবে। নভেম্বরের দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, এটি ছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে মিরপুরের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার (মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড) থেকে ডিওএইচএস পর্যন্ত লেন তৈরির কাজ চলছে।
পৃথক সাইকেল লেন বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী যা এত দিন দৃষ্টি গোপন ছিল । নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কেবল মটর যানবাহনের দিকে ফোকাস হচ্ছে বেশী। ঠিক তেমনি ভাবে পথ চলার অনান্য পথ নিরাপদের আন্দোল আমাদের গণ মাধ্যমও প্রসাশনকে অবগত করতে হবে।
"সড়ক হোক গণন্ত্রাত্রিক, সকলের জন্য চাই নিরাপদ সড়ক। দুঃখের বিষয় সাইক্লিস্টদের পৃথক নিহত দূর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় না অনান্য দেখিয়ে দেন। আমরা চাই সাইক্লিস্টদের পৃথক পরি সংখ্যান তুলে ধরা হোক । একজন সাইক্লিস্ট দ্বারা দেশের পরিবেশ, সুসাস্হ্য রক্ষা, শব্দ, বায়ু দূষণ, আর্থিক সাশ্রয়, জ্বালানি অপচয়, সময় ঘন্টা নষ্ট, সামাজিক অবক্ষয় রোধে যুব সমাজকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব।
যে দেশের সড়ক যত উন্নত, সে দেশের আর্থিক, সামাজিক ততোই উন্নয়ন শীল। এ দেশে অনেক সড়ক উন্নয়ন ও নিমার্ণে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি, সাইকেল লেন বাস্তবায়নে জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। আগামীতে হোক এই প্রতিপাদ্য
নিরাপদ সড়ক দিবসে
"সড়ক হোক গণতান্ত্রিক
সকলের জন্য চাই নিরাপদ সড়ক।
আমিনুল ইসলাম টুববুস
সভাপতি
বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ।