চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে এক নারী মেম্বারের অফিস থেকে মঙ্গলবার রাতে এক রাজমিস্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নুরুল আলম (৪৫) একই এলাকার মৃত শরফ আলীর ছেলে।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইউপি সদস্যসহ তিন জনকে আটক করেছে। তারা হলেন- ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুন (৪৮), কোরবান আলী (২৬) ও মোহাম্মদ পারভেজ (২৩)।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘নুরুল আলমের মৃত্যুর কারণ আমরা এখনও জানি না। হত্যা এবং আত্মহত্যা পরস্পর বিরোধী অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবার বলছে ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে যে অফিস থেকে লাশ পাওয়া গেছে, তারা বলছে নুরুল আলমকে আটকে রেখে দরজা বন্ধ করে তারা দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে ফিরে এসে দেখেন আলম আত্মহত্যা করেছে। থানায় খবর দেয়ার পর রাতে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।’

কর্ণফুলী থানার এসআই মো. মোশাররফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে মহিলা মেম্বারের অফিস কক্ষ থেকে নুরুল আলম নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় ভিকটিমের সাথে কুরবান আলী ও পারভেজের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল।

এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় নিহতের ছেলে মো. নজরুল বাদী হয়ে রাতে চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন-কোরবান আলী (২৬) মো. নাছির (৩২), আছিয়া খাতুন (৪৮) ও মোহাম্মদ পারভেজ (২৩)। এদের মধ্যে তিনজনকে পুলিশ তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। খবর-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান