হাওর এলাকায় ধান কাটার জন্য ২ লাখ ৬১ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে হাওর এলাকায় ধান কাটার জন্য ২ লাখ ৬১ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত হাওর এলাকায় ২ লাখ ৬১ হাজার শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত আছেন। ফলে আশা করা যায়, আগাম বন্যা বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে হাওরের কৃষকরা সময়মতো সুষ্ঠুভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবেন।’
আজ মঙ্গলবার নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন এবং খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের হাওরে বোরো ধান কাটা পরিদর্শনের সময় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো: আশরাফ আলী খান খসরু, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, মানু মজুমদার এমপি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো.আব্দুল মুঈদ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওর এলাকায় ধান কাটার জন্য ২৯৪ টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও ৪০৬ টি রিপার ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিকূল পরিবেশে হাওরের কৃষক যাতে সহজে যন্ত্রপাতি কিনতে পারে সেজন্য যন্ত্রের দামের ৩০ শতাংশ দেয় কৃষক এবং ৭০ শতাংশ দেয় সরকার। একই সাথে, দেশের অন্য এলাকা থেকে হাওরের আগাম বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার প্রেরণ করা হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনুরোধে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধান কাটতে এসেছেন। আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করতে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে এসেছি। সরকার সব সময় তাদের পাশে রয়েছে। কেউ অসুস্থ বা করোনাক্রান্ত হলে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে এবছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ ভাগের যোগান দেয় হাওরাঞ্চলের বোরো ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, হাওরাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাতটি জেলায় এবছর শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত হাওরের ৯৪ হাজার ৭৩৭ হেক্টর (২১.২৭%) জমির ধান কাটা হয়েছে। এ সময়ে কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সাবান, গামছা ও লুঙ্গি বিতরণ করেন।