হানিফের সংগ্রামী জীবন নতুন প্রজন্মের কর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। আগামীকাল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন,‘আমি আশা করি, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের‘সোনার বাংলাদেশ’বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে।’তিনি বলেন,‘বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। সেদিন মোহাম্মদ হানিফসহ দলের নেতারা মানবঢাল তৈরি করে আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। মস্তিষ্কসহ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রেনডের অসংখ্য স্পিন্টার ঢুকে পড়ে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও মস্তিস্কের স্পিন্টার নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’

তিনি বলেন,‘সর্বকালের সর্বশ্যেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। বাঙালির মুক্তি-সনদ ৬-দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারি হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই জননেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ এদেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন।’বাণীতে তিনি মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে। খবর:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান