হেনস্তার শিকার চবির দুই ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ

রাতে বাসায় ফিরতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চলছে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সায়মা আলম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হেনস্তার শিকারের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। এটা আজকে নতুন নয়। তবে বিচার পাওয়ার জন্য বিচার চাইতেও হবে। যা অনেকে করেন না। তবে এই দুই শিক্ষার্থী করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শহর থেকে ব্যাক্তিগত কাজ শেষে ভুক্তভোগী দুইজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের দুই নাম্বার গেইট সংলগ্ন বাসায় যাচ্ছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে সোহরাওয়ার্দী মোড় পার হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছাকাছি যেতেই ৪ জন ছাত্র তাদের পথ আটকে জেরা শুরু করে। শিক্ষার্থীরা তখন তাদের পরিচয় দিলেও অভিযুক্তরা নানারকম থ্রেট দেয়া শুরু করে। এমনকি অভিযুক্তদের মধ্যে লুঙ্গি পরিহিত একজন হাঁটু পর্যন্ত লুঙ্গি উঠিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের গায়ের দিকে বারবার তেড়ে যায়। ঠিক তখন ওই রাস্তা দিয়ে প্রক্টরের গাড়ি যেতে দেখে তাদের চিৎকারে গাড়ি থামালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

এসময় অভিযুক্ত একজনকে আটক করে। বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত একজন কে আটক করা হয়। তার তথ্যানুসারে বাকি তিনজন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের রুবেল, দর্শন বিভাগের ইমন ও রাজু। অভিযুক্ত ৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের ছাত্র। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রক্টর স্যার আমাদের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ জানাবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, নিয়মিত ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের গাড়ি সেন্ট্রাল মসজিদ প্রদক্ষিণ করতে গেলে দুইজন শিক্ষার্থী গাড়ি থামায় এবং হেনস্তার অভিযোগ দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়। তার পরিচয় এবং সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগামী রোববার তার সঙ্গে কথা বলে অন্য অভিযুক্তদের পরিচয় জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান