১২ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’

ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ তাণ্ডব চালাতে পারে টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। এ সময় বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮০-২০০ কিলোমিটার। রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বিহার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। দেশের খুলনা উপকূলেও আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে ঝড়টির।

বুধবার (২৬ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানা শুরু করবে উল্লেখ করে এ কে এম রুহুল কুদ্দুস জানান, সুন্দরবনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

তিনি আরো জানান, আঘাতের কেন্দ্রস্থলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি হতে পারে ‘যশ’র। তবে টানা ঝড় বয়ে যাওয়ার সময় গতি গড়ে ১৮০ কিলোমিটার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।