চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষকদের চাহিদা মেটাতে ১৪ লাখ মেট্রিকটন রাসয়নিক সার আমদানির পরিকল্পনা করছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নথির বরাত দিয়ে ইউএনবির এক খবরে বলা হয়েছে তিউনিশিয়া, সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে এই সার আমদানি করা হবে।
ওই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জরিপের ওরপ ভিত্তি করে করা ওই নথি অনুসারে এই বছর দেশের কৃষকদের জন্য প্রায় ১৫ লাখ টন সার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন ট্রিপল সুপার ফসফেনট বা টিএসপি এবং ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট বা ডিএপি সার।
খবরে বলা হয়েছে, কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দেশি উৎস থেকে সংগ্রহ ও বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে এই চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইউএনবি জানিয়েছে, ১৫ লাখ মেট্রিকটনের মধ্যে ১৪ লাখ মেট্রিক টন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদেশ থেকে আমদানির করা হবে। বাকি এক লাখ মেট্রিকটন বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ড্রস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) বিভিন্ন কারখানা থেকে সংগ্রহ করা হবে।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন চলমান এক চুক্তির আওতায় সৌদি আরব, তিউনেশিয়া ও মরক্কো থেকে ১৪ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে বড় একটা অংশ আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে কৃষি মন্ত্রণালয় সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় দেওয়া হয়েছে। ওই প্রস্তাবে মরক্কো থেকে দেড় থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন টিএসপি, ৫০ হাজার থেকে এক রাখ মেট্রিকটন ডিএপি, তিউনিশিয়া থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন টিএসপি ও সৌদি আরব থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন ডিএপি আমদানির জন্য অর্থছাড় চাওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহের ওই প্রস্তাব মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭