সময়মত সংস্কার কাজ সম্পন্ন না করার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ১৫৬টি তৈরি পোশাক কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যালায়েন্স। এসব কারখানার মধ্যে জুনে দুইটি কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অ্যালায়েন্সের শর্ত পূরণ করেছে আরও ১০টি কারখানা।
অ্যালায়েন্স সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ক্রেতাদের এ জোট জানায়, জুনে সম্পর্ক ছিন্ন করা কারখানা দুটি হলো- লিবার্টি পলি জোন (বিডি) লিমিটেড এবং বি.এইচ.আই.এস অ্যাপারেলস লিমিটেড।
এছাড়া গতমাসে ১০টি কারখানাসহ এ পর্যন্ত মোট ৯২টি কারখানা কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপিএস) সম্পন্ন করেছে।
জুনে সংস্কার শেষ করা কারখানাগুলো হলো- বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেড, কর্নফুলী স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, লালমাই স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মার্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড, মেহনাজ স্টাইল অ্যান্ড ক্রাফট লিমিটেড, তিতাস স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, টয় উডস(বিডি) কো লিমিটেড, ইউনিয়ন এক্সেসরিজ লিমিটেড এবং ইয়ংগন স্পোর্টস সুজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমস মরিয়ার্টি বলেন, প্রত্যেকটি কারখানাকে নিরাপদ কর্মস্থলে রূপান্তর করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিরাপদ হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশের গার্মেন্টস কারখানার বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত সংস্কার তদারকির লক্ষ্যে ২০১৩ সালে গঠিত হয় অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। এটি অ্যালায়েন্স নামে পরিচিতি। প্রায় ৬০০ কারখানার সংস্কার কাজ তদারক করছে এ জোট। এর বাইরে অ্যাকর্ড নামে ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে আলাদা একটি জোটও প্রায় দেড় হাজার কারখানার সংস্কার কাজ তদারকি করছে। আগামী ২০১৮ সালে তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে অ্যালায়েন্সভুক্ত সব কারখানাকে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সংস্কার সম্পন্ন করতে ব্যর্থ কারখানা অ্যালায়েন্সভুক্ত ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এরই অংশ হিসেবে সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করা হচ্ছে। অবশ্য এসব কারখানার ফের অ্যালায়েন্সের মানদণ্ড অনুযায়ী সংস্কার সম্পন্ন করতে পারলে তারা অ্যালায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়ে ফিরতে পারবে।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১২ জুলাই ২০১৭