১৫ বছর ধরে চলছে লিয়াকতদের জাল নোটের ব্যবসা

কেরানীগঞ্জ থেকে আটক জাল নোটের দুই কারিগর ও ব্যবসায়ীর পরিচয় মিলেছে। আটক লিয়কত আলী ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে কর্নেল ইমরানুল হাসান।

লিয়াকতের বরাত দিয়ে ইমরানুল জানান, লিয়াকত আলী জাল নোট তৈরির কৌশল শেখে ছগির মাস্টার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে। গুরু ছগির মাস্টার ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে ছগির মাস্টার শুরু করে জাল নোটের ব্যবসা। আর এরপর থেকেই তার সহযোগী ছিল লিয়াকত।

র‍্যাব জানিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে লিয়াকত নিজেই জাল নোট তৈরি করে আসছিল। জাল নোট তৈরি করতে গিয়ে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হন তিনি। তবু জাল নোট তৈরির নেশা কাটাতে পারেননি তিনি।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে লিয়াকত ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে র‍্যাব। গোপন সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে প্রথমে লিয়াকতকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩-এর একটি দল। এ সময় তার কাছ থেকে ভারতীয় ১০ লাখ জাল রুপি, রুপি তৈরির বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ও রং জব্দ করা হয়। পরে লিয়াকতের দেওয়া তথ্য মতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আরেকটি বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়।

লে. কর্নেল ইমরানুল হাসান বলেন, লিয়াকত প্রতি মাসে ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ রুপির জাল নোট তৈরি করত। এক লাখ রুপির জাল নোট লিয়াকত বাংলাদেশের মুদ্রায় ১২ হাজার টাকায় তার সরবরাহকারীদের কাছ বিক্রি করত।

জাল নোট তৈরির অপরাধে লিয়াকতের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। লিয়াকতের আরও কয়েকজন সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তা ছাড়া কোন কোন মানি এক্সচেঞ্জে রুপির জাল নোট সরবরাহ করতেন লিয়াকত, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান ইমরানুল।

আজকের বাজার : এলকে/ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭