১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন না নরেন্দ্র মোদী

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত হবে। তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ও টুঙ্গিপাড়ায় ওই দিন যে কর্মসূচি আছে তা ব্যাপক জনসমাবেশ পরিহার করে সীমিত আকারে করা হবে। ফলে ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ যেসব বিদেশি অতিথি আসার কথা ছিল তারা আসছেন না। রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিদেশি অতিথিদের আপাতত না আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, যেহেতু মূল অনুষ্ঠানটি এখন হচ্ছে না, তাই তারা এখন আসবেন না। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠানসূচি ঘোষণা করা হলে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

উল্লেখ্য, দে‌শে তিনজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল কলেবরে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়। তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ও টুঙ্গিপাড়ায় ওই দিন যে কর্মসূচি আছে তা ব্যাপক জনসমাবেশ পরিহার করে সীমিত আকারে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠ‌কে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হা‌সিনা ছাড়াও শেখ রেহানা উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

আজকের বাজার/এ.এ