ভ্যাট ১ শতাংশ কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ভ্যাট ১ শতাংশের বেশি কমলে সফটওয়্যার চেঞ্জ করতে হবে; যেটা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
আজ ২৪ মে বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা-এর প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা’র সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভ্যাট হার একাধিক হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একাধিক হার পারব না।’ ভ্যাট হার আইনে বলা ১৫ শতাংশ থেকে এক শতাংশ কমালে ৮ হাজার কোটি টাকা এবং তিন শতাংশ কমালে ২৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় কম হবে বলে একটি হিসাবের কথা বলা হচ্ছে।
এটা কীভাবে পুষিয়ে নেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এক শতাংশ কমানো হলে সম্ভব। তেমন কিছু করতে হবে না। এর চেয়ে বেশি কমাতে গেলে নতুন করে সফটওয়্যার করতে হবে। এ জন্য দুই মাস সময় লাগবে।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন দেখছি যে ভ্যাট হার কমানো বেশ কষ্টকর হবে।’
নতুন আইনে টার্নওভার করের সীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকার কথা বলা আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এটা পুনর্বিন্যাস হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা কত হবে জানি না। তবে ৮০ লাখ টাকার বেশি হলে অনেকেই ভ্যাটের আওতার বাইরে চলে যাবেন। ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা করব কি-না নিশ্চিত নই।’
বার্ষিক লেনদেনের ওপর যে কর হয়, তাকেই টার্নওভার করা বলা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের বড় দাতা দেশ। জাইকা প্রেসিডেন্ট আমাদের দেশে অনেক দিন পর আসলেন; সাধারণত ভাইস প্রেসিডেন্ট আসেন। তিনি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা দিয়েছিল, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এখনও জঙ্গি নির্মূলে কাজ করছি।
“বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আশা করছি, তারা সতর্কতা বার্তা তুলে নেবে।” আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২ দেশের বাণিজ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ৩ বছরে ৫ বিলিয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা তারা বাস্তবায়ন করতে চায়।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২৪ মে ২০১৭