বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য মাসিক সর্বনিম্ন যে মজুরি বা বেতন নির্ধারণ করেছে তাকে খুবই অপর্যাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে শ্রমিক অধিকার রক্ষার বিভিন্ন সংস্থা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি সে দেশে অবস্থান করা বিদেশি শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ২০০ ডলারের কম করার ঘোষণা দেয়।
তবে শ্রম অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলো বলছে, এই বেতনে একজন শ্রমিকের পক্ষে কাতারের মতো দেশে বাস করা সম্ভব না।
উপসাগরীয় অঞ্চলের শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ইকুইডেম রিসার্স এর গবেষক মুস্তফা কাদরি বলেন, এই বেতন খুবই কম। একজন মানুষ এই অর্থ কাতারের মতো একটা দেশে অর্ধেক মাসও চলতে পারবে না।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের এমন একটা বেতন দিতে হবে যেন তারা সেখানে খেয়ে-পরে কিছু রাখতে পারে আর মাস শেষে কিছু পয়সা জমাতে পারে।
২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করছে কাতার। সে উপলক্ষ্যে দেশটিতে চলছে মহা নির্মাণযজ্ঞ। তবে অভিযোগ রয়েছে এই কাজে যুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কৃতদাসের মতো আচরণ করছে কাতার।
এ কাজ করতে গিয়ে অন্তত ১২০০ কর্মী নিহত হন বলে ২০১৩ সালে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিলো আইটিউইসি।
এদিকে গত অক্টোবর মাসে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ ও কফিল পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারির ঘোষণা দেয়। তখন বলা হয় ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কাতার ও আইএলও কর্মকর্তারা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
সেই টানা বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ, চাকরি পরিবর্তন করতে না পারার শর্ত, কাতারের শ্রম অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে একজন শ্রমিক কফিল বা স্পন্সর পরিবর্তন করতে পারবেন, সবগুলো চুক্তিপত্র একটি কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কর্মীরা কর্মস্থলে নিজেদের কমিটি গড়তে পারবেন।
দেশটিতে কাতারের প্রায় ২০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক রয়েছেন। বেশিরভাগই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে থেকে যাওয়া।
আজকের বাজার: সালি / ১৮ নভেম্বর ২০১৭