২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। আর আহত হয়েছে ২ হাজার ৩৪৭ জন। ৩০ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানান নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস এবং সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ইলিয়াস কাঞ্চন জাহানারা কাঞ্চনের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের ১৪ বছরের আন্দোলনের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ, যানবাহন বাড়লেও সড়ক দুর্ঘটনা কমে এসেছে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে নিহতের সংখ্যা ছিল ৫০০৩ জন, আহত হয়েছিল ২৩৪৭ জন। আর ২৪ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি।
তিনি বলেন, এবছরই প্রথম দেশব্যাপী সরকারিভাবে ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হবে। নিসচা সারাদেশে ১১০টি শাখা সংগঠনের মাধ্যমে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মর্সূচি পালন করবে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিদেশেও একই কর্মসূচি পালন করবে নিসচা।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিসচার কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ‘সড়ক নিরাপত্তা: শিক্ষক, শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের করণীয়’বিষয়ক কর্মশালা, ১৭ অক্টোবর প্রথম আলো-নিসচা গোলটেবিল বৈঠক, গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদে সচেতনতামূলক কর্মশালা, ২১ অক্টোবর প্রথম আলো-নিসচা রোডক্রাশ এর উপর উন্মুক্ত আলোচনা, ২২ অক্টোবর সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে র্যালি ও বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ।
চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, কাঙ্খিত সচেতনতা এখনও তৈরি হয়নি। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি গোল অর্জনে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনা অর্ধেকে নমিয়ে আনার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে-তা আমাদের দেশে সম্ভব হবে যদি ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে পারি। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সব স্তরের সংগঠন, সংস্থাগুলোতে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আলম দিপেন,ভাইস চেয়ারম্যান এহসান উল হক কামাল,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গনি মিয়া বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদ হোসেন,কার্যনিবার্হী সদস্য মো. কামাল হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭