২০৫ রানে অল আউট বাংলাদেশ!

৩য় দিনের সকালে ব্যাট করতে নামেন অপরাজিত তাইজুল আর মোসাদ্দেক। কিন্তু কোন রান যোগ না করেই মোহাম্মদ নবী’র বলে ফেরত যান তাইজুল। উড়িয়ে মারতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান।

এর পরে নামেন নাইম। কিন্তু তিনিও বেশি সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। ২০৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

এর ফলে ১৩৭ রানের লিড পেয়ে যায় আফগানিস্তান। এর আগে মাত্র ১৩০ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

আফগান স্পিনারদের স্পিন ঘুর্নিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ ইনিংস। এর মধ্যে ৫০ রানের ইনিংস খেলে এক প্রান্ত আগলে রাখেন মমিনুল হক।

১ম ওভারেই কোন স্কোর যোগ না হতেই বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর মাঠে নামেন লিটন দাশ।

সৌম্য সরকারের সাথে ৩৮ রানের জুটি গড়ে অনেকটাই সাবলীল হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ভুলটা করে বসলেন সৌম্য। মোহাম্মদ নবীর সোজা লেন্থ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৬৬ বলে ১৭ রান করে বিদায় তিনি।

সৌম্য বিদায় নেয়ার পর মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করছিলেন লিটন দাস। কিন্তু দলীয় ৫৪ রানের মাথায় রশিদ খানের ঘূর্ণি বলে পুল করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু বল উঠলো না এবং সোজা গিয়ে আঘাত হানলো স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি ব্যক্তিগত ৩৩ রানে।

সাকিব, মুশফিক বা মাহামুদুল্লাহ কেউই এদিন বড় স্কোর করতে পারেননি। তবে মুশফিকের আউটকে কিছুটা দুর্ভাগ্য বলাই চলে।  এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে চলেন মমিনুল। তবে ৫০ পার করার পর দ্রুতই ফেরত যান এই ব্যাটসম্যান। মাত্র ১৩০ রানে ৭ উইকেটের পতন ঘটে।

অষ্টম উইকেট জুটিতে ফলোঅনের শঙ্কা কাটিয়ে উঠেন মোসাদ্দেক আর মেহেদী মিরাজ। এই জুটিতে ১৬ রান করতে প্রায় দশ ওভারের মতো সময় কাটিয়েছেন তারা।

নবম উইকেটে তাইজুলকে নিয়ে আবারও শক্ত প্রতিরোধ গড়েছেন মোসাদ্দেকের। এই জুটি দ্বিতীয় দিনশেষে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।।