২০ কোটি রুপি নিয়ে গাড়ি চালকের চম্পট, বিভ্রান্ত পুলিশ

সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িতে করে ব্যাংকে জমা রাখার জন্য আনা হয়েছিল ২০ কোটি রুপি। কিন্তু সুযোগ বুঝে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে রুপি ভর্তি সেই গাড়ি নিয়ে চম্পট মারলেন চালক। সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচিতে ঘটেছে এই ঘটনা।

এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িচালক হুসেইন শাহ চন্দ্রিগড় সড়ক থেকে নগদ অর্থ পরিবহনের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। ওই সময়ে নিরাপত্তা প্রহরীরা অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ভবনে প্রবেশ করেন।

পুলিশের কাছে মামলাটি দায়ের করেছেন অর্থ পরিবহন কোম্পানিটির আঞ্চলিক অপারেশনস ব্যবস্থাপক। চন্দ্রিগড় সড়ক পাকিস্তানের আর্থিক কেন্দ্র বলে পরিচিত। এই সড়কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়াও বেশ কিছু অন্যান্য ব্যাংকের কার্যালয় রয়েছে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা একটি অস্বাভাবিক মামলা। গত ৯ আগস্ট প্রকাশ্য দিনের আলোয় এই ঘটনা ঘটে। আমরা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মামলাটি তদন্ত করছি কেননা এই রকম ঘটনা আগে ঘটেনি।’

বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআইও) চৌধুরী তারিক জানিয়েছেন, চালককে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি, ফলে এই মামলায় কোনও বড় অগ্রগতি হয়নি। তিনি বলেন, ‘ভ্যানটি যে সিকিউরিটি কোম্পানির তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ পরিবহন করে আর নিরাপত্তা প্রহরী মোহাম্মদ শামীম জানিয়েছেন তিনি অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন।’

তারিক জানান, নিরাপত্তা প্রহরী ফিরে এসে দেখতে পান গাড়ি সেখানে নেই। চালক তাকে আগেই জরুরি প্রয়োজনের কথা জানানোয় তিনি তাকে ফোন করেন। তবে পরে আবারও ফোন করলে চালকের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে গাড়িটি পাওয়া গেলেও তাতে কোনও অর্থ পাওয়া যায়নি। অর্থ ছাড়াও গাড়িটি থেকে অস্ত্র, ক্যামেরা এবং একটি ডিভিআর মেশিনও হারিয়েছে।

পুলিশ ওই গাড়ি চালকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে তার বাবার দাবি প্রায় ছয় মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় পরিবারের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান